ফেসবুকে ভাওতা বাজি!! ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে চোখ মেলালে একটা কথা দেখতে পাবেন। আমি নিচে একটি নমুনা পোস্ট কপি করে দিচি পড়ুন-
“আপুরা কেউ ফেসবুকে জব করতে চাও? ১-২ ঘন্টা সময় দিয়েই প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০-৮০০ টাকা ইনকাম.. কেউ কাজটা করতে চাইলে আমাকে নক করো 🙂”
অনলাইনে কি মেয়েরা আয় করতে পারবে?
আসলে কি এদের সাথে যোগাযোগ করলে ইনকাম করা যায়? এই প্রশ্নরে উত্তর ২ রকম; আয় করা যায়, আবার যায় না?
এট আবার কেমন ২ রকম কথা😞 নিচের অংশ পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন এটা ১০০% ভূয়া ।
গড়ুনঃ প্রথমে আপনার থেকে ১৮৫(কখনও কম বেশি হয়) চাইবে, তাদের মুল গ্রুপে এড করার ফি। আপনার থেকে নেওয়া ১৮৫ টাকার ১০০ টাকা পাবে যে এড করছে।
আর ৮০ টাকা মুল(ভাওতা বাজি) গ্রুপকে দিবে। এই টাকা পাঠাতে ৫ টাকা বিকাশ চার্জ লাগে। মোট টাকার হিসাব ১৮৫ টাকা।
এবার আপনি গ্রুপে এড হয়ে টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে?
অনলাইকে ইনকামের জন্য আপনাকে ২টি কাজ দিয়ে দিবে। প্রথম কাজ হল আপনার ফেসবুক তালিকার মেয়েদের ওদের গ্রুপে এড করতে বলবে । দ্বিতীয় কাজ হিসাবে আপনাকে বলবে ঐ মেয়ের(যে মেয়েকে টাকা দিছেন) মত ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে। আপনি লোভে পড়ে বা আপনার ১৮৫ টাকা জলে গেলে ভেবে টাকাটা পূরণ করতে চাইবেন।
তারপরে কিছু সময় ফেসবুকে পাগলের মত পোস্ট করতে থাকবেন। এবং আপনার পোস্ট কোন মেয়ের চোখে পড়লে আপনাকে ইনবক্সে মেসেস দিবে । আপনিও এভাবে কাউকে রাজি করাতে পারলে তার থেকে ১৮৫ টাকা নিবেন, আপনি রাখবেন ১০০ টাকা। এটা হল আপনার ইনকাম সিস্টেম। এবাবে ৫ জনকে রাজি করালে ৫০০ টাকা।
কি দরকার আছে এই হারাম ইনকাম করার?
ফেসবুক গ্রুপে হাজার হাজার মেম্বর, একটি পোস্ট দিলে সবাই পোস্ট পরে। অনেক মেয়ে টাকা দেওয়ার পরে ধোকা বুঝতে পেরে টাকার আশা ছেড়ে দেয়। এটায় হল মেয়েদের ফেসবুকে ধোকাবাজি ইনকাম। এভাবে হাজার হাজার মেয়েকে হেনস্থা করছে । সবাই এই বিষয়ে সচেতন হন এবং সবাইকে সচেতন করুন।
সাধারণত ছেলেরা অনলাইনে ইনকামের বিষয় জানে। ছেলেরা সহজে এই ধরণের কাজে যুক্ত হয়না,তাই এদের দিয়ে ধান্দার বিজনেস চলে না।
*পোস্টি যদি উপকারী মনে হয় তাহলে শেয়ার করু, কপি করে কালেক্ট লিখবেন না। এতে নতুন করে লেখার আশা হতাস হয়।