২১এ ফেব্রুয়ারি নিয়ে ২১ প্রশ্নোত্তর – জেনে রাখুন

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্ব। আমাদের শক্তি । বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসাবে পাওয়া এই একুশের জন্য। তাই নিজেদের জানার জন্য কিংবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তাই চলুন জেনে নেই একুশ নিয়ে ২১ প্রশ্ন এবং উত্তর। জেনে রাখুন – ২১শে ফেব্রুয়ারি VS ২১এ ফেব্রুয়ারি – কোনটি সঠিক?,

২১এ ফেব্রুয়ারি নিয়ে ২১ প্রশ্নোত্তরঃ

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কুইজ, ২১ শে ফেব্রুয়ারি সাধারণ জ্ঞান অনক গুরুত্বপূর্ণ ।  বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একুশে ফেব্রুয়ারি প্রশ্নগুলো দেওয়া হল।

২১এ ফেব্রুয়ারি নিয়ে ২১ প্রশ্নোত্তর
২১এ ফেব্রুয়ারি নিয়ে ২১ প্রশ্নোত্তর

১.“একুশের গল্প”-এর তপু কোথায় গুলিবদ্ধ হয়েছিল? উত্তর: হাইকোর্টের মোড়ে
২.‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে? উত্তর: হাসান হাফিজুর রহমান
৩.গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রাষ্ট্রভাষার দাবি: ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজী ও উর্দ্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
৪.শহীদ হওয়া আব্দুল জব্বার এবং রফিক উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আব্দুস সালাম, আবুল বরকতসহ আরও অনেকে সে সময় নিহত হন। ঐদিন অহিউল্লাহ নামের একজন ৮/৯ বছরের কিশোরও নিহত হয়।
৫.শহীদ স্মরনে শহীদ মিনার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে। কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে। তাতে একটি হাতে লেখা কাগজ গেঁথে দেয়া হয়, যাতে লেখা ছিল ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।

৬.শহীদ মিনারের স্থপতি – হামিদুর রহমান
৭.শহীদ মিনার নির্মাণ: হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয় ।
৮.শহীদ মিনারের উচ্চতা: ১৪ মিটার(৪৬ফুট)
৯.স্বতঃস্ফুর্ত পালন: শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট সরকার কর্তৃক ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়
১০.জিন্নাহর ঘোষণা- ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এক ভাষনণে ঘোষণা করেন “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা”

১১.ভাষা আন্দোলনের প্রথম গান ও রচয়িতা? -“রাষ্ট্রভাষা” । রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শামসুদ্দিন আহমেদ
১২.‘আমার ভাইয়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির রচয়িতা এবং সুরকার হলেন -আবদুল গাফফার চৌধুরী এবং আলতাফ মাহমুদ পরো আব্দুল লতিফ।
১৩.কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা, কবিতাটির রচয়িতা কে? -আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
১৪.‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়।’ গানটির রচয়িতা ও সুরকার হলেন? – আব্দুল লতিফ
১৫.‘শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদবুদ, স্মৃতিগন্ধে ভরপুর একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ।’-রচয়িতা কে? -শামসুর রহমান

১৬.একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য আবেদন: জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম ।
১৭.আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা : ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
১৮.২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এর বাংলা তারিখ কি? – ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯ বৃহস্পতিবার
১৯.সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার- অবশেষে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পরে ১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়।
২০.নতুন শহীদ মিনার উদ্বোধন১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ ব্যক্তিত্ব আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

২১.একুশকে ঘিরে উদযাপন: ফেব্রুয়ারি মাসটি নানাভাবে উদযাপিত হয় যার মধ্যে আছে, মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদযাপন, যা একুশে বইমেলা নামে সমধিক পরিচিত। এছাড়াও ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের ত্যাগের সম্মানে এ মাসেই ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক ‘একুশে পদক’।

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.