BCS প্রিলির জন্য দৈনিক কয় ঘণ্টা পড়তে হবেঃ
BCS প্রিলির জন্য দৈনিক কয় ঘণ্টা পড়লে এবং কীভাবে পড়লে প্রিলি পাশ করা সম্ভব? আপনি কতঘণ্টা পড়লে আপনার বিসিএস প্রিলির প্রিপারেশন কাভার করবে এটা বলা মশকিল। কারণ একেকজনের পড়ার স্টাইল একেক রকম।
আবার সবাই সমানতালে অনেক বেশি পড়তে পারে না। কেউ কেউ আবার অনেক বেশি পড়লেও মনে রাখতে পারে না। তাই Exact Time বলা অনেক কঠিন। তবে আমার মনে করি বিসিএস প্রিলির জন্য দৈনিক পরিকল্পনা করে কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা পড়া উচিৎ নতুনদের।
BCS প্রিলির জন্য কীভাবে পড়তে হবেঃ
আমার মতে, BCS প্রিলির সব টপিক না পড়ে কেবল বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বার বার পড়া উচিত। তাই বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতি শুরু করার আগে কী কী পড়বেন সেটা না ঠিক করে আগে ঠিক করুন কী কী বাদ দিবেন। তাহলে আপনার বিসিএস সিলেবাস অনেক ছোট হয়ে যাবে, বিসিএস সিলেবাসকে মহাসাগর মনে হবে না এবং পড়তেও ভালো লাগবে। কেননা, আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিই বার বার পড়েন তাহলে পরীক্ষার হলে উত্তর দিতে গেলে কনফিউজড হবেন না।
আর যদি কোনো বিষয়ই ভালোভাবে না পড়ে সব বিষয়ই কোনো পরিকল্পনা ছাড়া পড়তে থাকেন তাহলে পরীক্ষার হলে দেখবেন কিছুই ভালোভাবে মনে করতে পারছেন না কিংবা কেবল কনফিউজড হয়ে যাচ্ছেন কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।
আপনি দেখবেন প্রত্যেক বিসিএস প্রিলিতে ২০০টি প্রশ্নের মধ্যে ১৪০-১৫০টি প্রশ্ন একেবারে কমন টপিক থেকে আসে তারপর সবাই পারে না। এর মূল কারণ হলো গুরুত্বপূর্ণ এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় পড়াতে পরীক্ষার হলে কমন বিষয়গুলো উত্তর দিতে পারছে না অনেকেই কিংবা পারলেও অনেক ভুল হয়ে যাচ্ছে।
বিসিএস প্রস্তুতিঃ কিভাবে শূন্য থেকে শুরু করবেন
BCS প্রিলির কার্ট মার্কসঃ
কিন্তু শুধু যদি কমন পারার প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিক ভাবে দেওয়া যায় তাহলে প্রিলিতে অনায়াসে পাশ করা যায়। কেননা, প্রিলিতে পাশ করার জন্য ২০০ নম্বরে ১৮০-১৯০ পেতে হয় না ; ২০০ নম্বরের প্রিলিতে ১২০ নম্বর পেলে যেকোনো প্রশ্নে সেইফ মার্কস। যেমন, ৩৮তম বিসিএস প্রিলি দেয়ার পর অনেকেই বলেছিল প্রশ্ন অনেক সহজ হয়েছে এই প্রশ্নে ১৩০-১৪০ না পেলে টিকা সম্ভবপর নয়। কিন্তু শেষে দেখা গেল ৩৮তম প্রিলি ১১০-১১৫ পেয়ে টেকে গেছে। মানে কার্ট মার্কস ছিল ১১০-১১৫ এর ভিতরে এতো সহজ প্রশ্নতে! তাই আমি বলি কম Important টপিকগুলো বাদ দিয়ে শুধু বেশি Important টপিকগুলো পড়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিলে প্রিলি পাশ ইনশাল্লাহ!
আর এই কৌশলকে কাজে লাগিতে আল্লাহর রহমতে জীবনের প্রথম বিসিএস প্রিলি থেকে শুরু করে অর্থাৎ ৩৪তম বিসিএস প্রিলি থেকে ৩৮তম বিসিএস প্রিলি পর্যন্ত টানা ৫ টি বিসিএসের কোনোটাই ব্যর্থ হয়নি। যতবার পরীক্ষা দিয়েছি ততবারই পাশ করেছি। এমনি আমি পূবালী ব্যাংকে জব করার সময়ও ব্যাংকের এতো প্রেশারের মধ্যে যতবার প্রিলি দিয়েছি ততবার পাশ করেছি।এইভাবে নিয়মিত পরিকল্পনা মাফিক পড়লে ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই। তাই বলি, উল্টাপাল্টা বেশি জিনিস না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো বারবার পড়ুন ইনশাল্লাহ আমার মতো আপনিও ভালো ফল পাবেন।