বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদীর উৎপত্তি ও মিলনস্থল
তিস্তা লালমনিরহাট দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এসে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র মিলিত হয়েছে এবং সম্মলিত প্রবাহের নামকরণ করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্র।
ব্রহ্মপুত্রের এই সম্মিলিতধারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত একই ছিল। দেওয়ানগঞ্জ এসে তারা যমুনা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে বিভক্ত হয়ে যায়।
যমুনা দেওয়ানগঞ্জ থেকে রাজবাড়ির গোয়ালন্দে এসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে এবং সম্মিলিত প্রবাহের নামকরণ করা হয়েছে পদ্মা।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র আবার ভৈরব বাজারে এসে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামধারণ করেছে। প্রশ্ন হল মেঘনা কই থেকে আসল?
বরাক নদী সিলেট দিয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ এসে সুরমা ও কুশিয়ারা পুনরায় মিলিত হয়েছে এবং এই সম্মলিত প্রবাহের নামধারণ করা হয়েছে কালনী। এই কালনী আর পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত ধারাই মূলত মেঘনা।
গোয়ালন্দে মিলিত হওয়া পদ্মা আবার চাঁদপুরে এসে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামধারণ করেছে। এই মেঘনা অবশেষে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।